• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • দুর্গাপুরে হারিয়ে যাওয়া তাঁতশিল্প জেগে ওঠার স্বপ্ন 

     dweepojnews 
    04th Aug 2021 2:05 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    তাঁতের ঠকঠক শব্দে একসময় মুখরিত ছিল নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বিরিশিরির মহিলা সমিতির তাঁতঘরটি।

    আদিবাসী নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘দকমান্দা’ তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যেতেন।

    তৈরি করা ওইসব আদিবাসী পোশাক স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা পর্যটকরাও কিনে নিতেন প্রতিনিয়ত।

    এখানে কমবেশি সবাই আদিবাসীদের হাতে বোনা তাঁতের সঙ্গে পরিচিত। এ শিল্পকে পুরোপুরি শিল্পে রূপান্তর করার স্বপ্ন যেন আজ ভেঙে যেতে বসেছে।

    এ শিল্পকে জাগিতে তুলতে নেত্রকোনা জেলা ও দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ায় জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখছে আদিবাসী অধ্যুষিত বিরিশিরি এলাকার বহুমুখী নারী সমবায় সমিতির তাঁত শিল্প।

    সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, এখানকার আদিবাসী নারীরা অন্য পেশার পাশাপাশি তাঁতশিল্পের কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি।

    কিন্ত কালের বিবর্তনে আর্থিক সংকট ও পর্যটক না আসায় হারিয়ে যেতে বসেছে তাদের প্রিয় তাঁতশিল্প। এলাকার আদিবাসীদের কথা ভেবে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তহবিলে স্থানীয় আদিবাসী বহুমুখী নারী সমবায় সমিতির সংগঠনের সদস্যরা আবার শুরু করেছিলেন তাদের প্রিয় তাঁতশিল্পের কাজ।

    কিন্ত মেশিনগুলো পুরনো হওয়ায় এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তা আর আলোর মুখ দেখতে পারেনি বেশি দিন। এখানে ২০টি তাঁত মেশিন রয়েছে এবং প্রায় সবই অকেজো।

    পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাঁতশিল্পীরা নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন নতুন মেশিন ও সুতা কেনার পুঁজি।

    নারী উদ্যোক্তাতা শেফা ম্রং, রিমি ও তানিয়া বলেন, নতুন মেশিন না থাকায় কাপড় তৈরিতে বেশি খরচ পড়ে এবং অনেক সুতা নষ্ট হয়ে যায়। তৈরি করা নান্দনিক পণ্য বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের।

    এ শিল্পকে রক্ষার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনা সুদে ঋণ অথবা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা প্রদান করলে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও পণ্য রফতানি করে এ শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারব।

    এ নিয়ে রোববার বিকা এক ভার্চুয়াল আলোচনায়, ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসানের সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আদিবাসীদের এ শিল্পকে রক্ষার জন্য প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুর রশিদ।

    এনজিও প্রতিনিধি লুদিয়া রুমা সাংমা, ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রুহু ও সুব্রত সাংমা, বিরিশিরি বহুমুখী মহিলা সমবায় সমিতির পরিচালক বিনোদিনি রেমা, তাঁত শিল্পী অমিতা সাংমা ও চামেলি সাংমা প্রমুখ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা অনুসরনীয় ও প্রসংসনীয়।

    জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান বলেন, বিলুপ্তপ্রায় তাঁত শিল্পকে আবার উজ্জিবিত করতে ইতোমধ্যে নানা পরিকল্পনা প্রনয়ণ করা হচ্ছে।

    স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

    Array
    আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১