পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দুর্দান্ত বল করেন স্টার্ক-জাম্পারা।
১৩১ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অসি পেসারদের তোপে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ৪৭টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু অসিদের এই হাসি একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিল বাংলাদেশের বোলাররা। মিরপুর স্টেডিয়াম শুনল বাঘের গর্জন।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া।
সেখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তিন নম্বরে নামা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শই শুধু লড়াই করেছেন। অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের প্রাণপন লড়াইও কাজে আসেনি।
বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিজাদুতে কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া।
মাত্র ১০৮ রানে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২৩ রানের ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়ের স্বাদ।
এ জয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে দুইটি রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।
একটি হলো সর্বনিম্ম পুঁজি নিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এতদিন ধরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড ছিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে এই শেরেবাংলাতেই আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও ৫১ রানের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
আজ অস্ট্রেলিয়ার পরাশক্তির বিপক্ষে সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল টাইগাররা। ১৩১ রান করে পেল ২৩ রানের জয়।
দ্বিতীয় রেকর্ডটি অনন্য। বিশ ওভারের ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড এখন বাংলাদেশের দখলে। যা এতদিন ধরে ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪২ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। সেদিন ১৪৩ রানের তাড়ায় কিউই বোলারদের তোপে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
আজ মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে গেছে ১০৮ রানে। সফরের আগে এটা কি কল্পনা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া?
Array