আজ থেকে ঢাকায় এবং আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংযুক্ত হয়ে রোববার এ তথ্য জানান ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
নির্ধারিত সময়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, সারা দেশে ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা এখনো পাননি। কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে এর মধ্যে ১০ লাখ ২৬ হাজারের বেশি টিকা এসেছে। আগামীকাল আরও ছয় লাখ টিকা পৌঁছাবে।
শামসুল হক বলেন, প্রথম ডোজ টিকা যে কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয়টিও একই কেন্দ্র থেকেই নিতে হবে। যারা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন, কিন্তু টিকা পাননি, তারা ওই আগের এসএমএস দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন। যারা প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজে কোনোভাবেই অন্য কোনো কোম্পানির টিকা নেবেন না।
তিনি বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তবে যারা যে এলাকায় নিবন্ধন করবেন সেই এলাকায় টিকা নিতে হবে। অন্য এলাকা থেকে টিকা নিলে তার তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যাবে না। সনদ পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন।
বুলেটিনে যুক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মতামত দেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম (বাসু)। তিনি বলেন, আইসিইউ হলো রোগীর জন্য ডেথ বেড। এখানে গেলে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যারা মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে যায় তাদের আউটকাম খুবই কম। তিনি বলেন, করোনাতে দেশে যত রোগী সংক্রমিত হয় তাদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কারও কারও অক্সিজেন দরকার হয়। তাদের এক শতাংশের আইসিইউ দরকার হয়। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আইসিইউ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি, সংক্রমণ কমাতে না পারি, হাসপাতালে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, শয্যা কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়িয়ে সংকুলান করা যাবে না। নিয়ম মেনে না চললে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাবে।
Array