নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধা জীবিত থাকলেও এনআইডি কার্ডে তাকে মৃত দেখানোর ফলে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করলেও তিনি আর বয়স্ক ভাতা পাননি।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধার নাম রাহাতন খাতুন। তিনি বাগাতিপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পেড়াবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী।
রাহাতুন খাতুন জানান, তিনি প্রায় সাত বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি মোবাইল ফোনে তাদের ভাতার টাকা দেওয়া হবে জানানো হয়। কিন্তু পরে মোবাইল ফোনে তিনি আর টাকা পাননি। সর্বশেষ দুই দফার কোনো টাকা না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি জানতে পারেন তিনি নথি অনুযায়ী মৃত। সে কারণে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।
সে সময় তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এনআইডি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস গেলে বারবার তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রায় দুই থেকে তিন মাস পর স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারলেও তিনি আর বয়স্ক ভাতা পাননি। জীবিত থাকার পরও কীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখানো হলো এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বলেন, করণিকের কারণে অথবা তথ্য হালনাগাদের সময় কোনোভাবে ভুলটি হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন। তবে রাহাতুন খাতুনের আইডি কার্ডের ভুলটি ইতোমধ্যেই সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, পূর্বে ম্যানুয়েলি বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সফটওয়ারে যাচাইয়ে এনআইডিতে মৃত থাকায় তার ভাতা বন্ধ হয়েছে। নির্বাচন অফিস থেকে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে তিনি কাজটি করতে পারেননি। ফলে সেই স্থলে অন্য আরেকজনকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থান শূন্য হলে বা নতুন বরাদ্দ পেলে তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাতার আওতায় আনা হবে।
Array