• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • জয়নুল আবেদিন আমাদের জীবিত ঐতিহ্যের অংশ: মোহাম্মদ আজম 

     Mesbah Mukul 
    07th Jan 2025 1:11 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    মেজবাহ মুকুল

    জয়নুল আবেদিন আমাদের জীবিত ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছেন। তাঁর চিত্রগুচ্ছে মন্বন্তর ও জন-বিপন্নতা ধারণ করে তিনি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন আসে সমসাময়িক অন্য শিল্পীদের চিত্রে সেসব বিষয় কতটা গভীরভাবে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

    তিনি বলেন, ইউরোপীয় শিল্প-আধুনিকতা দিয়ে জয়নুল-চিত্রকলাকে যেমন ব্যাখ্যা করা যাবে না তেমনি কলকাতার শিল্প-স্কুল দিয়েও হুবহু অনুধাবন করা যাবে না তাঁকে। জয়নুলের লড়াই ও অর্জন পূর্ববাংলার জনমানুষকে ঘিরেই মূলত আবর্তিত।

    গতকাল বিকেলে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে এক সেমিনার আয়োজিত হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাঃ নায়েব আলী। ‘জয়নুল আবেদিনের চিত্রকলায় মানুষ ও সমাজচেতনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক আবদুস সাত্তার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ নিজার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনবাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।

    মোহাঃ নায়েব আলী বলেন, জয়নুল আবেদিন এদেশের মাটি ও মানুষের শিল্পী। বাংলার খেটে খাওয়া জনতা তাঁর চিত্রকর্মে বলিষ্ঠ ভাষা পেয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি,তাই একাডেমি পরিবার বিশেষ গর্ব অনুভব করে।

    অধ্যাপক আবদুস সাত্তার বলেন, জয়নুল যেমন তাঁর চিত্রকলায় সৌন্দর্যের সন্ধান করেছিলেন তেমনি যা সুন্দর নয় তাকেও তিনি উপস্থাপন করেছিলেন। জীবনের সুন্দর প্রতিষ্ঠায় যে শক্তি বিরোধিতা করে তিনি তাকেও চিহ্নিত করেছেন। তাঁর দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা ঔপনিবেশিক চেতনালালিত অভিজাত নাগরিকদের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ। পাকিস্তান শাসনামলে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিপরীতে দাড়িয়ে তিনি পূর্ব বাংলার ঢাকায় মানুষের জন্য শিল্পশিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। প্রান্তিক মানুষের সৃষ্টিকর্মের গুরুত্ব ও মর্যাদা দানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প ফাউন্ডেশন।তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহে তাঁর শিল্পকর্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন জয়নুল সংগ্রহশালা। যাতে রাজধানীর বাইরের মানুষেরাও শিল্পের সৌন্দর্য আস্বাদন করতে পারে। সর্বোপরি তাঁর অসাস্প্রদায়িক চেতনা, প্রকৃতি ও মানুষের জীবনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং শৈল্পিক কুশলতা তাঁর চিত্রকলায় বিশিষ্টতা দান করেছে।

    আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের শিল্পকলা আন্দোলনে জয়নুল আবেদিনের অবদান অবিস্মরণীয়। লোকবাংলা প্রাণ পেয়েছে তাঁর রংতুলির ছোঁয়ায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ,মহামারি-মন্বন্তরের সঙ্গে লড়াই আর স্বাধিকার স্বাধীনতার সংগ্রামে উদ্বেলিত জাতির প্রতিটি পর্ব জয়নুলের সৃষ্টিতে নতুন মাত্রা লাভ করেছে। তারা বলেন, উত্তরপ্রজন্মের শিল্পীদের কাছে জয়নুল আবেদিন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কী করে একজন শিল্পী তাঁর ব্যক্তিগত সাধনা দিয়ে গোটা জনগোষ্ঠীর শিল্পস্বর হয়ে ওঠেন-তা জয়নুলের কাছ থেকে শিক্ষণীয় বিষয়।

     

    Array
    আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১