• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • ব্যাংকিং খাতে বড় রদবদল: দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণে প্রয়োজন ৩৮ হাজার কোটি টাকা 

     dweepojnews 
    14th Aug 2025 8:58 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    অনলাইন ডেস্ক: দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা কাটাতে বড় ধরনের একীভূতকরণ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্রক্রিয়ায় মোট প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা—যার মধ্যে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করতে লাগবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করতে ব্যয় হবে ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, কেবল তারল্য সহায়তা দিয়ে দুর্বল ব্যাংককে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনতে কাঠামোগত সংস্কার এবং একীভূতকরণই একমাত্র কার্যকর সমাধান। তার মতে, বিশ্বের অনেক দেশেই সরকার দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগ করে পরে লাভসহ সেই অর্থ ফেরত নিয়েছে—বাংলাদেশও একই পথ অনুসরণ করবে।

    প্রথম ধাপে ইসলামী ধারায় পরিচালিত পাঁচটি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক—একীভূত হওয়ার আলোচনায় রয়েছে। তবে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকা এক্সিম ব্যাংক চাইলে প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে পারবে, সেক্ষেত্রে তাদের সিআরআর, এসএলআর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ৮ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে। লক্ষ্য রাখা হয়েছে আগামী অক্টোবরের মধ্যেই প্রথম ধাপের একীভূতকরণ শেষ করা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে পাঁচ ব্যাংকের ভয়াবহ খেলাপি ঋণের চিত্র সামনে এসেছে। ইউনিয়ন ব্যাংকের মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ বর্তমানে খেলাপি। এত বড় খেলাপি ঋণ ও তারল্য ঘাটতির কারণে অনেক ব্যাংক আমানত ফেরত দিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।

    অর্থ উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত প্রস্তাব প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে মোট ১৫ থেকে ২০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হতে পারে। প্রথম ধাপে ৬-৭টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ১১-১২টি ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    গভর্নর মনসুর নিশ্চিত করেছেন, একীভূত হলেও আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ থাকবে এবং সরকার সরাসরি দায়িত্ব নেবে। তার ভাষায়, “কবে কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, সবাই টাকা ফেরত পাবেন।”

    অর্থনীতিবিদ ও গবেষক এম হেলাল আহমেদ জনি মনে করেন, দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করাই খাতকে বাঁচানোর সর্বোত্তম উপায়। তবে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন, কারণ অধিগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো সাধারণত পুরনো কর্মীদের রাখার ব্যাপারে অনাগ্রহী। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক জোরপূর্বক একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করতে পারে, যা হতে পারে দুর্বল ব্যাংক রক্ষার শেষ চেষ্টা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে, বাকিদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূতকরণ সফল হলে খাত শুধু সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে আরও স্থিতিশীল ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    Array
    আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১