আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রচেষ্টায় সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের। সোমবার তাদের সঙ্গে দিনভর বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠকে অংশ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের শেষ করার ক্ষেত্রে ‘উন্নতি’ হয়েছে। এটা আমার যুদ্ধ না, তবে এটা সত্যিই যে জেলেনস্কি এই যুদ্ধ এখনই শেষ করতে পারেন।”
স্থানীয় সময় সোমবার ওভাল অফিসে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে, যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ‘প্রচেষ্টা’র জন্য এবং তাকে এই বৈঠকের আমন্ত্রণ দেওয়ায় জেলেনস্কি তাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কার একটি চিঠি দিয়ে বলেন, এটা আপনার জন্য নয়, আপনার স্ত্রীর (মার্কিন ফার্স্ট লেডি) জন্য।
জেলেনস্কি এটা বলার পর তারা দুজনেই হাসেন।
বৈঠকে জেলেনস্কি সাংবাদিকদের জানান, ইউক্রেনিয়ানদের মনোবল এখনও দৃঢ় রয়েছে এবং তারা ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘কূটনৈতিক উপায়ে’ যুদ্ধ শেষ করার বিষয়টিকে সমর্থন করে।
তিনি আরও জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডন্টে এবং রাশিয়ার প্রেসিডন্টের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে চান।
এ সময়, গত সপ্তাহে এই যুদ্ধে অনেক লোক নিহত হয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, তিনি এবং জেলেনস্কি উভয়ই চান যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, পুতিনও এমনটাই মনে করেন।
এ সময় ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয় , যুদ্ধে কোন পক্ষ সুবিধাজনক অবস্থান রয়েছে?
এর জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার যুদ্ধ না।
তখন তিনি আবারও ২০২৩ সালে রাশিয়ার আগ্রাসন না থামানোর জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন। ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, তিনি সবার ভালোর জন্যই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করেন ট্রাম্প। রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠক নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জেলেনস্কি-পুতিন বৈঠকেরও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
কিন্তু পর্দার আড়ালে ঠিক কী আলোচনা হচ্ছে তা কেউ খোলাসা করছেন না। সবাই ভাসাভাসা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তবে শান্তি আলোচনায় যে উভয়পক্ষকে কিছু ছাড় দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র তার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই তার ভূখণ্ডের কিছু অংশ রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
Array