অনলাইন ডেস্ক: বাড়তি গৃহমূল্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের অনিশ্চয়তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃহস্পতিবার নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সামান্য বাড়িয়েছে।
সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দক্ষিণ কোরিয়া চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সেমিকন্ডাক্টরের ব্যাপক চাহিদা রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পূর্বাভাস অনুযায়ী তাদের নীতিগত সুদহার ২.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকলেও প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অনিশ্চিত। তবে দেশীয় চাহিদার ক্ষেত্রে সামান্য উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সিউলে বাড়ির দামের ঊর্ধ্বগতি বর্তমান নীতি সুদহার বজায় রাখাকে ‘যুক্তিযুক্ত’ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে তারা সতর্ক করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। শেষপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগে সম্মত হওয়ার পর তা কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনতে সক্ষম হয় সিউল ।
বিওকে বলেছে, রপ্তানি শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব বিস্তৃত হওয়ায় ধীরে ধীরে তা দুর্বল হয়ে পড়বে।
চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বিওকে ০.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.৯ শতাংশ করেছে। তবে ব্যাংক বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি, নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক এবং দেশীয় চাহিদা পুনরুদ্ধারের গতিসহ বেশ কিছু অনিশ্চয়তা ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রি চ্যাং ইয়ং বলেছেন, দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে আগামী বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সুদহার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক বিওকের জন্য সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তকে সহজ করে তুলেছে।
বৈঠকের একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যা সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির অংশ।