রাজধানীর কাকরাইলে শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ আল রাজী টাওয়ার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নুর ও অন্যান্য নেতারা। লাঠিচার্জে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে বিজয়নগরে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।
এই সংঘর্ষ ও পরবর্তী বলপ্রয়োগ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপি, জামায়াত, এবি পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিন্দা জানিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই তারা বলপ্রয়োগ করেছে। প্রশ্ন হলো, শান্তিপূর্ণ সমাধান কি সত্যিই সম্ভব ছিল না?
ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত অপরিহার্য। তা না হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বার্তা যেতে পারে। একই সঙ্গে দোষীদের বিচার না হলে ভবিষ্যতে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে, যা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর হবে।
সরকারের উচিত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা। এটাই সময়ের দাবি।
Array