খেলাধুলা ডেস্ক: ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে আবারও দেখা যাবে দুই মহাতারকা — রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে। অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে সিরিজে তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা একরকম নিশ্চিত বলে জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
নতুন নির্বাচক কমিটি— যেখানে প্রথমবারের মতো রয়েছেন আরপি সিং ও প্রজ্ঞান ওঝা— শনিবার (৪ অক্টোবর) বৈঠকে বসে অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করবে। সফর শুরু হবে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে, এরপর ২৩ ও ২৫ অক্টোবর বাকি দুটি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলবে ২৯ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
ভারতীয় দল টানা খেলার চাপে আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকার ট্রফির পর এশিয়া কাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজ এবং তার পরপরই অস্ট্রেলিয়া সফর— সময়ের ব্যবধান খুবই কম। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে। আবার অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ।
এ অবস্থায় তিন ফরম্যাটে নিয়মিত থাকা শুভমান গিল, জাসপ্রিত বুমরা ও কুলদীপ যাদবকে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় আছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও অভিষেক শর্মা।
এশিয়া কাপ ফাইনালের সময় বাম পায়ের চোটে পড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে অস্ট্রেলিয়া সফরে তার খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, হার্দিকের বিকল্প হিসেবে নিধান কুমার রেড্ডি ও শিবম দুবে আলোচনায় রয়েছেন। ওয়ানডেতে দুবে আগেও খেলেছেন চারটি ম্যাচ, রেড্ডি এখনও অভিষেকের অপেক্ষায়।
বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হলে ভারতের পেস আক্রমণ কেমন হবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। আর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা আছেন বিকল্প হিসেবে, তবে তৃতীয় পেসার হিসেবে ফিরতে পারেন মোহাম্মদ সিরাজ বা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। এর মধ্যে প্রসিদ্ধ আইপিএল ২০২৫-এ ‘পার্পল ক্যাপ’ জিতেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বিবেচনায় ভারতীয় দল এবার কম স্পিনার নিতে পারে। রবিশ্রেণী জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের মধ্যে একজনই খেলতে পারেন ওয়ানডেতে। ওদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর ও রিয়ান পরাগের মতো তরুণদেরও দেখা যেতে পারে দলে। পরাগ সম্প্রতি ভারত ‘এ’ দলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ফিফটি করেছেন।
রিষভ পন্ত এখনও চোটমুক্ত নন; পায়ের ফ্র্যাকচার থেকে সেরে ওঠেননি তিনি। ফলে তার জায়গায় ফিরতে পারেন সঞ্জু স্যামসন, যিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর আর ওয়ানডে খেলেননি। এছাড়া ধ্রুব জুরেল ও জিতেশ শর্মার নামও আলোচনায় আছে, যদিও ওয়ানডে অভিজ্ঞতায় স্যামসনই এগিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের এই সফর তাই হবে একদিকে অভিজ্ঞদের প্রত্যাবর্তনের, অন্যদিকে তরুণদের প্রমাণের মঞ্চ। নির্বাচকরা এখন দেখবেন, বিশ্বকাপ ২০২৭-কে সামনে রেখে কোন সমন্বয় সবচেয়ে কার্যকর হয়।
Array