আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘে উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনের আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে পর্তুগাল।
পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এ স্বীকৃতি দেবেএ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দিনকয়েক আগে যুক্তরাজ্য সফরকালে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেলও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি তার দেশ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছিলেন। তাদের প্রতিবেশী দেশ স্পেন গত বছরের মে মাসেই আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে একসাথে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও পর্তুগাল এ বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্পেনের বামপন্থি সরকার গত বছর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অন্য দেশগুলোকেও একই পথে হাঁটার আহ্বান জানায়। পর্তুগালের তখন বলেছিল, তারা এ বিষয়ে অন্যান্য ইইউ দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিতে চায়।
ইইউ-র ২৭টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে; তার মধ্যে বেশিরভাগই একসময় কমিউনিস্ট শাসনাধীন ছিল, এর বাইরে সুইডেন ও সাইপ্রাসের স্বীকৃতি পেয়েছে ফিলিস্তিন।
ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশের আগামী সপ্তাহেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা।
২০১২ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক মর্যাদা ‘সত্ত্বা’ থেকে ‘সদস্য নয় এমন রাষ্ট্র’ পর্যায়ে উন্নীত করে।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের হাতে বিপুল বেসামরিকের মৃত্যু, অনাহার ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে তেল আবিব এমনকি তার মিত্র অনেক দেশের কাছ থেকেও তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা কুড়িয়েছে।
Array