অনলাইন ডেস্ক: সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০২৫ সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে, যা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো— অভ্যন্তরীণ ক্রয়ে বিদ্যমান ১০% মূল্যসীমা বাতিল, সব ধরনের সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি বাধ্যতামূলক, চুক্তি প্রাপ্তিতে প্রকৃত উপকারভোগী প্রকাশ বাধ্যতামূলক, টেকসই সরকারি ক্রয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবর্তন, প্রতিটি প্রকিউরমেন্টে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ের বাধ্যবাধকতা, ভৌত সেবাকে স্বতন্ত্র প্রকিউরমেন্ট ক্যাটাগরি হিসেবে স্বীকৃতি, ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট ও নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, একটি ডিবারমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং সম্পদ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বিধান।
পিপিআর, ২০২৫ তৈরির প্রক্রিয়া ৪ মে ২০২৫-এ শুরু হয়। বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) নতুন বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়, যা ২০০৮ সালের পিপিআর প্রতিস্থাপন করেছে। এর প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা নিশ্চিত করতে বিপিপিএ একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (টিডব্লিউজি) গঠন করে। এতে মন্ত্রণালয়, ক্রয়কারী সংস্থা, বিপিপিএ কর্মকর্তা এবং জাতীয় প্রকিউরমেন্ট প্রশিক্ষকরা অংশ নেবেন। টিডব্লিউজি ৯টিরও বেশি সভায় বসে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
এছাড়া, বিপিপিএ ১২টি বিস্তৃত পরামর্শ সভা আয়োজন করে, যেখানে ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, সাংবাদিক, উচ্চ পদস্থ নীতি-নির্ধারণী কর্মকর্তা, নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে মত ছিল যে, ২০০৮ সালের পিপিআর সম্পূর্ণভাবে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করে প্রতিস্থাপন করা উচিত। বিপিপিএ চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে অনুমোদনের জন্য অর্থ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের নিকট উপস্থাপন করে। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব কামাল উদ্দিন বলেন, এটি সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের সচিব এস. এম. মঈন উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, নতুন বিধিমালা দেশের সরকারি ক্রয় সংস্কারের ইতিহাসে এক মাইলফলক।
Array