• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • কোন্দলে ডুবেছে ১০ নৌকার মাঝি 

     dweepojnews 
    01st Dec 2021 5:20 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজেদের দলের স্থানীয় কোন্দলেই ডুবেছে লালপুর ও বাগাতিপাড়ার ১০ নৌকা।

    তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাটোর-১ সংসদীয় আসনের এই দুই উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২৬ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন ১০ নৌকার মাঝি।

    ১০ নৌকার মাঝিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত ছয় বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থিত চার স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকার এমন শোচনীয় পরাজয় কেন জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলের কোন্দলকে দায়ী করেছেন।

    তারা মনে করেন, বর্তমান সংসদ-সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এবং সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নেতৃত্বে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ দুটি পক্ষে বিভক্তি হয়ে পড়েছে। এ কারণে দলীয় মনোনয়নে সাবেক এমপির সমর্থকদের আধিপত্য থাকলেও বর্তমান সংসদ-সদস্যের অনুসারীরা বিদ্রোহী প্রার্থিতা দিয়েছেন। এছাড়া একই ইউনিয়নে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর সুযোগ নিয়ে স্বতন্ত্রের ব্যানারে থাকা বিএনপি প্রার্থীরা চারটিতে বিজয়ী হয়েছেন।

    স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এই আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরের প্রতিবেদককে বলেছেন, প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বর্তমান এমপির ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তার অনুগ্রহ ও সহযোগিতা পেয়েছেন। তার সহযোগিতায় এরা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

    নিজেদের কোন্দলে নৌকার অনেক প্রার্থী বেকায়দায় ছিলেন, তাই এই পরাজয়। ১৫টি ইউনিয়নে বর্তমান এমপি আগে থেকেই পালটা কমিটি গঠন করে রেখেছিলেন বলেও তিনি দাবি করেন। এসব বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল বলেছেন, এ আসনে ২৮ বছর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ চলছে মেধাহীন নেতৃত্বে। জনবিচ্ছিন্ন এসব নেতা যারা নেতৃত্বে আছেন তারা তাদের খেয়ালখুশি মতো আওয়ামী লীগের ভালো-মন্দ বিচার না করে নিজেদের সুবিধার জন্য নিজেদের মতোই জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের দিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি করে রেখেছেন। তাদেরকেই নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে তালিকা পাঠিয়েছেন। এলাকার অন্য যোগ্য নেতারা মনোনয়ন চেয়েও যোগ্য হওয়ার পরও না পাওয়ায় অনেকে বিদ্রোহ করে নির্বাচন করেছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য, কিন্তু বঞ্চিত হওয়ায় তারা নিষেধ মানেননি।

    সাবেক এমপি এবং উপজেলা কমিটির নেতাদের অনুসারীরাও নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল। সব মিলিয়েই নৌকার এই পরাজয়। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এই নির্বাচনে তিনি নৌকার বিপক্ষে কোনো ভূমিকা রাখেননি। তিনি বলেন, আমি কখনই ইউনিয়নে পালটা কমিটি গঠন করিনি। নাটোরে দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ঘোষণা করেন। সেই থেকে চলে আসা বিরোধের জের ধরেই দুই উপজেলা ১৫ নৌকার ১০টি ডুবেছে বলে মনে করছেন এখানকার সাধারণ ভোটাররা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও জানান, দুই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়েও দুই পক্ষের দুটি করে আওয়ামী লীগের কমিটি রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়াদের বেশিরভাগই উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পদধারী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ীরা বর্তমান এমপির পক্ষের কমিটির ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে রয়েছেন। অন্যদিকে দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটি সংসদ-সদস্যের অনুসারীদের বাদ দিয়ে দলীয় কাজকর্ম করতেন। এমপি তার অনুসারী এবং ওই কমিটির উভয়কে সঙ্গে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে সফল হননি। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মো. ইসাহাক আলী মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এমপি বকুল কখনোই থানা কমিটির সঙ্গে কাজ করতে চাননি। তার বিরোধিতার কারণেই এখানে নৌকার এই ভরাডুবি।

    Array
    আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১