মোবাইল অপারেটরদের কার্যক্রম তদারকির জন্য কানাডা থেকে প্রযুক্তি কিনছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
সোমবার এ বিষয়ে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পিানি টিকেসি টেলিকমের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক এবং টিকেসি টেলিকমের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে টিকেসি টেলিকমকে এই টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম বসানোর কাজ শেষ করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি বলেছে, এই সিস্টেম চালু হলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হবে। সেইসাথে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বাস্তব সময়ে (real time) পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
এতে ভয়েস ও ডেটা ট্রাফিক, নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং মান সম্পর্কিত তথ্যের পাশাপাশি বিটিআরসির প্রাপ্য রাজস্ব সম্পর্কেও ‘নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য’ তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে কমিশনের ভাষ্য।
এর ফলে এক দিকে বিটিআরসির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত আরও দক্ষ ও দ্রুততর হবে, অন্যদিকে শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল, দ্বীপ, হাওড়-বাওড়, উপকূলীয় অঞ্চল ও দুর্গম এলাকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রকৃত অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কমিশন বলছে, এই তদারকি ব্যবস্থা চালু হলে অপারেটরদের নেটওয়ার্কের ‘লাইভ মনিটরিং’ এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সেবার মান আরো সুচারুভাবে যাচাই করা যাবে এবং গ্রাহক সেবার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
গত ১৬ জুন সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম কেনার অনুমোদন দেয়।
বিটিআরসি বলছে, অপারেটররা যেসব ট্যারিফ প্ল্যানে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে, সেগুলো বিটিআরসির অনুমোদিত কি না, গ্রাহক অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না- সেসব বিষয়ও যাচাই করা যাবে এই টেলিকম মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে। ফলে দ্রুত ও সঠিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোথাও নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে এই তদারকি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ও সেবার সঠিক মানোন্নয়নেও এ সিস্টেম ভূমিকা রাখবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
Array